ওয়ার্ডপ্রেস কি ? ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি বিবরণ
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে এক ধরনের ওপেন সার্চ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এক কথায় যাকে বলা যায় CMs l এটি ২৭শে মে- ২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল l সি এম এস হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা বিভিন্ন ডাটা মানে, ফটো, টেক্সট, মিউজিক, ভিডিও, ডকুমেন্টস ইত্যাদি সংরক্ষণ করে এবং সেগুলো ওয়েবসাইটে উপলব্ধ করে l ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রায় 30% বেশী লোক ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে এবং 60 পার্সেন্ট লোক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে l তার জন্য আমরা আজ ওয়ার্ডপ্রেস ট্যুরিটিয়াল থেকে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে মূল বিষয়গুলোই আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব l যাতে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন lওয়ার্ডপ্রেস এন্টার ফেস খুবই সহজ হওয়ার কারণে এটি যে কোন সার্ভারে ইন্সটল করে খুব সহজে ওয়েবসাইট বানানো যায় এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করা যায় l এই প্লাটফর্মে প্রচুর ফ্রি থিম এবং প্লাগিন্স আপলোড করা থাকেl যেগুলো ইনস্টল ও একটিভ করে আপনি আপনার একটা সুন্দর ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন l প্লাগিন্স হচ্ছে ছোট ছোট সফটওয়্যার যেগুলো আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করবে l

আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার উপায় খুঁজে দেখেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন l আজ আমরা এখানে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরির সমস্ত পদ্ধতি আলোচনা করব l
ওয়ার্ডপ্রেস একটি বেসিক ওয়েবসাইট তৈরি প্লাটফর্ম যা প্রায় প্রতিটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহার করা যায়। এটি অত্যন্ত সহজ যার জন্য বেশিরভাগ ওয়েব ডেভলপার রা এই ওয়ার্ডপ্রেস কে সিলেক্ট করে থাকেন তাদের ওয়েবসাইট বানানোর জন্য l
Table of Contents
1.ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের সুবিধা :
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের কিছু বিশেষ সুবিধা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে:
- সরল ইনস্টলেশন: ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলেশন খুব সরল এবং দ্রুত করা যায়। এর জন্য আপনার কোন কোডিং জ্ঞানের দরকার হয় না l বিনা কোডিং এই আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন |
- ব্যক্তিগত কাস্টমাইজেশন: ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং লেআউট ব্যক্তিগতভাবে কাস্টমাইজ করতে পারেন।
- প্লাগইন সাপোর্ট: প্লাগইন ব্যবহার করে আপনি নতুন ফিচার এবং ফাংশনালিটি যোগ করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে।
- কমিউনিটি সাপোর্ট: ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গিয়ে যদি কোথাও কখনো সমস্যার সম্মুখীন হন তখন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বব্যাপী কমিউনিটির কাছ থেকে সাহায্য এবং সাপোর্ট পেতে পারেন l
2.ডোমেইন নাম নির্ধারণ :
ডোমেইন নাম হলো আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা, যেটি ব্যবহারকারীদের আপনার সাইটে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত চরিত্র নির্ধারণ করে। ডোমেইন নাম নির্ধারণের জন্য আপনাকে কিছু বিবেচনা করতে হবে:
- আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, এটি ব্যবসায়িক সাইট, ব্লগ, প্রতিষ্ঠান সাইট, বা অন্য কিছু ?
- ডোমেইন নাম নির্ধারণের জন্যআপনার কত বাজেটে আছে ?
এই গুলি বিবেচনা করে, আপনি একটি উপযুক্ত ডোমেইন নাম select করতে পারেন।
3.ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি জন্য হোস্টিং সার্ভার নির্বাচন :
হোস্টিং সার্ভার হলো আপনার ওয়েবসাইটের সার্ভার, যেটি আপনার সাইটটি ইন্টারনেটে দেখানোর জন্য সাহায্য করে। এটি অনেকগুলি ধরনের থাকতে পারে, সাধারণভাবে আপনি নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করতে পারেন:
- হোস্টিং মূল্য: আপনি হোস্টিং প্ল্যান নেওয়ার আগে খেয়াল রাখবেন সেটি আপনার বাজেটের মধ্যে আছে কিনা l
- সার্ভার স্পেস: আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চাইছেন তাতে কতটা স্পেস দরকার সেটি প্রথমেই বিবেচনা করে নেবেন l
স্পিড এবং উপযুক্তি: একটি দ্রুত এবং স্থায়ী সার্ভার নির্বাচন করুন যেটি আপনার ওয়েবসাইট লোড হতে দ্রুত উপযুক্তি সরবরাহ করতে পারে।

মাত্র ১৪৯ টাকার মাসিক ভিত্তিতে আপনি হোস্টিংগার প্ল্যান নিতে পারেন তবে আমি আপনাকে রিকমেন্ট করব যে এক বছরের হোস্টিংগার প্ল্যান নেবার জন্য l হোস্টিংগারের প্ল্যান নিতে হোস্টিংগার ওপর ক্লিক করুন |
4.ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা :
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে শুরু করতে পারেন নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে:
- হোস্টিংগড় থেকে আপনি যদি হোস্টিং প্ল্যান নেন তাহলে আপনি একটি ডোমেইন ফ্রী পাবেন এক বছরের জন্য l যার বর্তমান মূল্য বছরে হাজার টাকা l
- হোস্টিংগড় থেকে আপনি যদি হোস্টিং প্ল্যান নেন তাহলে আপনি এখানে ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রী ইন্সটল করতে পারবেন |
- প্রথমে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করে নেবেন | তারপর ইন্সটল করবেন, ইন্সটল করা সম্পূর্ণ হলে আপনাকে লগইনের জন্য আইডি পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট করার জন্য পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করবেন l মনে রাখবেন এই লগইন পাসওয়ার্ড এবং আইডি হচ্ছে আপনার এডমিন লগইন আইডি l
- যতবার আপনি আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য পদক্ষেপ নেবেন ততবারই আপনাকে এই এডমিন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে |
একবার ইনস্টলেশন সম্পূর্ণ হলে, আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে লগ ইন করতে পারেন এডমিন আইডি দিয়ে এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে শুরু করতে পারেন।
লগ ইন পেজে যাবার জন্য আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের নাম তারপর ফরওয়ার্ড ক্লাস ডব্লিউ পি মাইনাস এডমিন লিখে সার্চ করতে হবে l
উদাহরণ স্বরূপ আমার ওয়েবসাইটের নাম হল sikho.online | আমি এডমিন পেজে যেতে গেলে আমাকে টাইপ করতে হবে sikho.online/wp-admin

5.ওয়ার্ডপ্রেস থিম সাপোর্ট :
থিম হলো আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং লেআউটের মূল মডেল। ওয়ার্ডপ্রেসে অনেকগুলি ফ্রি থিম পাওয়া যায়, আপনি এই থিমগুলির মধ্যে থেকে একটি চয়ন করতে পারেন যা আপনার ওয়েবসাইটের দরকার হলো।ওয়ার্ডপ্রেস থিমে সাপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি কোন সমস্যা বা প্রশ্ন পরিলক্ষিত করতে চান বা কোন কাস্টমাইজেশন করতে চান, থিমের সপোর্ট প্লাটফর্ম খুঁজে পেতে পারেন।
6.থিম ইন্সটলের জন্য ভিডিও টুইটোরিয়াল :
7.ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে পোস্ট তৈরি করা :
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে পোস্ট তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজ পদক্ষেপ। পোস্ট টা আপনার সাইটের ব্লগ পোস্ট বা এটি একটি কন্টেন্টের মূল অংশ হতে পারে। পোস্ট তৈরি করতে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- ড্যাশবোর্ডে লগ ইন করুন এবং “পোস্ট” সেকশনে যান।
- “নতুন পোস্ট” বাটনে ক্লিক করুন।
- পোস্টের শিরোনাম এবং বিস্তারিত কন্টেন্ট লিখুন।
- একটি ফীচার ইমেজ যোগ করুন যা আপনার পোস্টের সাথে মিলে | ফিচার ইমেজ হল আপনার পোস্টের থাম্বেল যেমন আমরা ইউটিউবারদের ইউটিউব ভিডিওর প্রথমে দেখে থাকি l যে ইমেজ দেখে ব্যবহারকারীরা বুঝবে যে এটা কোন ধরনের ব্লগ l
- আপনি যদি চান তবে আপনি পোস্টে ট্যাগ এবং ক্যাটাগরি যোগ করতে পারেন।
আপনার পোস্ট প্রকাশ করতে “পোস্ট প্রকাশ করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
8.পেজ তৈরি করা :
আপনি আপনার ওয়েবসাইট ড্যাশবোর্ড এ বিভিন্ন ধরনের পেজ তৈরি করতে পারেন l যেমন হোম পেজ, এবাউট পেজ ,পলেসি টার্মস পেজ ,কন্টাক্ট পেজ ইত্যাদিl এগুলি আপনার ওয়েবসাইটকে ব্যবহারকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে l Google এডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল জন্য এই পেজগুলি খুবই দরকার হয়ে ওঠে l
9.ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে মেন্যু তৈরি করা :
মেন্যু ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে আপনার ন্যাভিগেশন বারের সাথে সংযোজন করে আপনার কন্টেন্ট সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক এবং পেজের সংক্রান্ত আরও কিছু অতিরিক্ত পেজের সাথে একটি সংযোজন করে।
মেনু তৈরি করার ভিডিও টিউটোরিয়াল-
10.ওয়েবসাইট লোগো কী ?কিভাবে ওয়েবসাইট লোগো সেট করব ?
ওয়েবসাইট লোগো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় চিহ্ন যা আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি এবং পেজের মূল চিহ্ন নিয়ে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের প্রফেশনালিজম এবং আপনার ব্র্যান্ড চিহ্ন প্রদর্শন করে এবং আপনার পাঠকদের মাঝে একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করে।
প্রয়োজনীয় ফরম্যাট
আপনি আপনার ওয়েবসাইট লোগো তৈরি করার জন্য একটি PNG অথবা JPEG ফরম্যাটের চিত্র ব্যবহার করতে পারেন। সর্বশেষ প্রয়োজন হলে এই চিত্রটি অনলাইন থেকে পেতে পারেন অথবা একটি পেশাদার লোগো ডিজাইনার থেকে তা করাতে পারেন।
লোগো যোগ করার ধাপসমূহ
ধাপ 1: ওয়েবসাইটে লগইন করুন
আপনার WordPress ড্যাশবোর্ডে লগইন করুন।
ধাপ 2: লোগো ফাইল তৈরি করুন
আপনি আপনার লোগো চিত্র তৈরি করুন বা ডাউনলোড করুন, যদি আপনার পাসে ইতোমধ্যে একটি থাকে।
ধাপ 3: ওয়েবসাইটে লোগো যোগ করুন
- ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করার পর, “ডিজাইন” মেনুতে যান এবং “লোগো যোগ করুন” অপশনটি নির্বাচন করুন।
- “এট ফটো আপলোড করুন” বাটনে ক্লিক করে আপনার লোগো চিত্রটি আপলোড করুন।
- আপনি যদি চান, আপনার লোগো চিত্রটি অতিরিক্ত সংশোধন করতে পারেন, যেমন আকার, আকৃতি, বা রঙের পরিবর্তন।
- আপনি আপনার লোগো চিত্রের সাথে “যদি দরকার হয়, লোগোটির লিংক দিও আপলোড করা যাবে” অপশনটি নির্বাচন করে আপনার লোগোটি একটি লিংকে যোগ করতে পারেন।
- সব সঠিক সেটিংস করার পর, “লোগো প্রযুক্ত করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ 4: লোগো সেটিংস সংরক্ষণ করুন
এই ধাপটি সম্পন্ন করলে, আপনার ওয়েবসাইটে লোগো যোগ করা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আপনি এবার আপনার ওয়েবসাইট নতুন লোগো দেখতে পাবেন।
সম্পর্কিত প্রশ্ন
1. কি টাইপের লোগো সেটিংস সবচেয়ে সেইমপ্রয়োজন?
লোগো সেটিংস সাইটের ডিজাইন এবং আপনার লোগোর ধরনের উপর নির্ভর করে।
2. আমি আমার লোগো চিত্র অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি আপনার লোগো চিত্রটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারেন অথবা একটি লোগো ডিজাইনার থেকে তা করতে পারেন।
3. আমি আমার লোগোটি পরে পরিবর্তন করতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি যেসময় চান, আপনার লোগো চিত্রটি পরিবর্তন করতে পারেন এবং সেটিংস সংরক্ষণ করতে পারেন।
4. আমি কোথায় আমার ওয়েবসাইটে লোগোটি দেখতে পাব?
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে লোগোটি দেখতে হলে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যেখানে আপনি এটি যোগ করেছেন, সেখানে দেখতে পাবেন।
5. আমি কি আমার লোগোটি পরিবর্তন করতে হবে যখন আমি আমার ওয়েবসাইটে নতুন কিছু যোগ করি?
না, আপনি আপনার লোগোটি পরিবর্তন করতে হবে না যখন আপনি আমার ওয়েবসাইটে নতুন কিছু যোগ করেন। আপনি যদি চান তবে আপনি সেটিংস সংরক্ষণ করতে পারেন এবং পরবর্তীতে লোগোটি পরিবর্তন করতে পারেন।
সংক্ষেপ
ওয়েবসাইটে লোগো যোগ করা সম্পূর্ণ সহজ এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করে। আমি এই নির্দেশনা দিয়ে আপনাকে বেশিরভাগ উইজার-ফ্রেন্ডলি প্রক্রিয়াটি সরল করার চেষ্টা করেছি, যাতে আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে লোগো যোগ করতে পারেন।
আপনি যদি আরও সাহায্য প্রয়োজন হয় তবে আপনি WordPress সাপোর্ট দলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন বা আপনার ওয়েবডেভেলপারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন এবং সাহায্য করবেন আপনার লোগো সেটিংস সম্পূর্ণ করতে।

11.ওয়ার্ডপ্রেসে কন্ট্যাক্ট ফর্ম যোগ করা :
কন্ট্যাক্ট ফর্ম আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে একটি সরল উপায়ে আপনার পাঠকদের আপনার সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন এটি যোগ করতে :
- ড্যাশবোর্ডে লগ ইন করুন এবং “প্লাগইন” সেকশনে যান।
- “নতুন যোগ করুন” বাটনে ক্লিক করুন এবং “কন্ট্যাক্ট ফর্ম 7” প্লাগইন ইনস্টল করুন।
- প্লাগইন সক্রিয় করুন এবং “কন্ট্যাক্ট ফর্ম” সেকশনে যান।
- আপনার কন্ট্যাক্ট ফর্ম তৈরি করুন এবং এটি আপনার পেজে যোগ করুন।
কন্টাক্ট ফর্ম তৈরির ভিডিও টিউটোরিয়াল-
12.ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে সামাজিক মিডিয়া যোগ করা :
সামাজিক মিডিয়া আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে আপনার কন্টেন্ট প্রচার করতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার সাথে আপনার পাঠকদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে। সামাজিক মিডিয়া যোগ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- ড্যাশবোর্ডে লগ ইন করুন এবং “প্লাগইন” সেকশনে যান।
- “নতুন যোগ করুন” বাটনে ক্লিক করুন এবং “সামাজিক মিডিয়া শেয়ার বাটন” প্লাগইন ইনস্টল করুন।
- প্লাগইন সক্রিয় করুন এবং আপনার সাইটে সামাজিক মিডিয়া বাটন যোগ করুন।
13.ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে সিও অপটিমাইজেশন :
সিও অপটিমাইজেশন আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের সাথে সাথে সাম্প্রতিক সার্চ ইঞ্জিন সার্চ করতে সাহায্য করে। এটি আপনার সাইটে আপনার কন্টেন্ট আরও দ্রুত এবং সঠিকভাবে ইনডেক্স করে তুলতে সাহায্য করতে পারে। সিও অপটিমাইজেশন করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- প্লাগইন ইনস্টল করুন যেমন “ইন্যাস্ট” বা “ইয়োস্ট সিও”।
- আপনার পোস্ট এবং পেজের সিও টাইটেল এবং মেটা বর্ণনা সঠিকভাবে সেট করুন।
- পোস্টের কীওয়ার্ড দিয়ে আপনার কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং যাচাই করুন যে আপনি আপনার টার্গেট কীওয়ার্ডে সম্প্রতি তৈরি করা ড্যাটাতে এবং টার্গেট কীওয়ার্ডে আপনার কন্টেন্ট সাথে মিল খায়।
- আপনার সাইটের গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য অতিরিক্ত ইনটারন্যাল লিঙ্ক সেট আপ করুন।
14.ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে সুরক্ষা :
সুরক্ষা হল ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে একটি আপনি সংরক্ষণ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করুন :
- সাইট লগ ইন প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে কোনও অদ্ভুত ব্যবহারকারীদের অ্যাক্সেস দিবেন না।
- একটি সুরক্ষা প্লাগইন ইনস্টল করুন যেমন “Wordfence” বা “Sucuri Security”।
- সাইটে নিয়মিতভাবে ব্যাকআপ নেন যাতে আপনি যদি কোনও সমস্যা সামগ্রী থাকে তবে আপনি সাইটটি পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা বিষয়টি জানানোর ছিল। আমরা আশা করি আপনারা ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি গুলো সহজে বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করার বিষয়ে জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।
এছাড়া আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং টিপস এবং ট্রিক্স পেতে চান? তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।কারন আপনাদের বহুমূল্য কমেন্ট আমাদেরকে আরো সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে তে সাহায্য করবে এবং আরো ভালো কিছু শেখার জিনিস নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারব l
বিশেষত আপনারা কোন ধরনের আর্টিকেল চাইছেন যদি আমাদের কমেন্ট এ জানান তাহলে আমরা সেই বিষয়ে আর্টিকেল আনার চেষ্টা করব l
3 thoughts on “1ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি”