ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা আজকের দিনে বিপুল পরিমাণ পরিবর্তন আনতে পেরেছি আমাদের জীবনে l ডিজিটাল শব্দটি একটি প্রাচীন স্থাপত্য যুগে নতুন পরিবর্তনের পরিচিতি যা আমাদের জীবনে এক বড় উল্লাস এনেছে l এখনকার দিনে সকাল থেকে শুরু করে রাত্রি পর্যন্ত আমরা বেশিরভাগ সময় টাই ডিজিটালের ওপর বাঁচতে শুরু করেছি l আমরা ডিজিটাল ব্যবস্থায় পড়াশোনা করতে শিখেছি, টাকা পয়সা লেনদেন করতে শিখেছি, কোন কিছু ইনফরমেশন পেতে গেলে সেটাও আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করতে শিখেছি l এ কথা বলাই ভালো যে আস্তে আস্তে আমরা ডিজিটাল হতে শুরু করেছি l এখনকার দিনে কোন কিছু শুরু করে এবং তার প্রচার করার আধুনিকতার নাম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং l হ্যাঁ বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেল নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক !

Table of Contents
1.ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?
সহজ ভাষায়, ডিজিটাল মার্কেটিং হল সকল প্রকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যম l বর্তমান যুগে যেকোনো ধরনের সেবা প্রদান কিংবা নতুন কিছু শুরু করার জন্যেই চাই ডিজিটাল ব্যবস্থা বা ডিজিটাল মার্কেটিং।সেটা কোন অনুষ্ঠান হোক, প্রতিযোগিতা বা কোন নির্বাচন, লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সকল প্রকার ক্ষেত্রেই আমরা এখন ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে থাকি l
তাহলে এখন প্রশ্ন আসতেই পারে যে টেলিভিশন সোশ্যাল মিডিয়া বা ভিডিও গেমে যত আমরা এড দেখি সেগুলো কি তবে সবই ডিজিটাল মার্কেটিং?
এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব ” হ্যাঁ “ এগুলো সবই ডিজিটাল মার্কেটিং l আশাকরি এখন বুঝতে পারছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এখন আমাদের কাছে কতটাই গুরুত্বপূর্ণ….
2.ডিজিটাল মার্কেটিং-এর প্রয়োজনীয়তা
প্রথমেই বলেছি, ডিজিটাল মার্কেটিং হল আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার l এবার প্রশ্ন হল যে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন?
মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হল দর্শককে আকৃষ্ট করা আর এই পদ্ধতি আমরা ডিজিটাল এর মাধ্যম দিয়ে করি তাহলে আমরা একই সাথে বহু লোক কে একসাথে আকৃষ্ট করতে পারব l সেটা নিজের এলাকা হোক নিজের দেশ হোক বা দেশের বাইরে l
উদাহরণস্বরূপ : ধরুন আপনি একটা নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন l যেটা শুধু আপনি যে এলাকায় ব্যবসা শুরু করেছেন সেখানকার ব্যক্তিবিশিষ্ট এবং এবং আপনার পরিবারের কিছু ব্যক্তি বিশিষ্টই জানতে পারেন l কিন্তু আপনি যদি ডিজিটাল প্রচারণ করেন তাহলে বহু সংখ্যক লোক একই সাথে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন l আর এইটার জন্যই আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন |

যদি আপনি 25 বছর আগের কথা ভাবেন, একটি সফল ব্যাবসা পরিচালনা করার জন্য আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক পরিচালনার দক্ষতার প্রয়োজন ছিল। তবে এখন গল্পটি অন্যরকম। এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং বেশিরভাগ শিল্পের জন্য গেম চেঞ্জের এ পরিণত হোয়েছে। এটা সত্যি যে ব্যবসা করার সময় ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর কৌশল গুলির সুবিধা অবহেলা করা যাই না। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এসে আরও সুবিধা বাড়িয়ে তুলতে প্রমাণ হয়েছে।
বিগত বছরগুলিতে, জ্ঞান এবং তথ্যের জন্য মানুষ ইন্টারনেট এর ওপর বেশি নির্ভশীল হোয়েছে। এবং ইন্টারনেট মানুষকে জ্ঞান ও তথ্যের বিতরণ করে তৃপ্ত করেছে। স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপি ওয়েব এর ব্যবহার বেড়েছে।
বিনোদন, জ্ঞান এবং যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য আরো বেশি সংখ্যক লোক মোবাইল ফোন ব্যাবহার এর দিকে এগিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহক অনলাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো ভাবে অনুপ্রবেশ করতে পারে।
জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতের প্রায় 900 মিলিয়ন মানুষ এই মুহূর্তে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অপ্রত্যাশিতভাবে, (নীলসন এবং ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া র যৌথ গবেষণায় উপস্থাপিত তথ্য) পরিসংখ্যান অনুসারে, 1 থেকে 5 বছর বয়সী শিশুরা 66 মিলিয়ন কনিষ্ঠতম ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছে৷ এই জ্ঞানের কারণে, ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবাগুলির জন্য একটি লাভজনক হয়ে উঠেছে |
3.ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা
এতক্ষণে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং তার কেন প্রয়োজনীয়তা এইসব ব্যাপার নিয়ে জেনেছি, চলুন এবার জানা যাক ডিজিটাল মারকেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে আমাদের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে….
3.1. ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভৌগলিক অবস্থান:
আমরা পূর্ববর্তী পয়েন্টে এটা স্পষ্ট করেছি যে, গুগল এডের সাহায্যে আমরা বহু সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারি l একটি নির্দিষ্ট ব্যান্ড বা কিওয়ার্ডের জন্য একটি বিজ্ঞাপন হাজার হাজার ভক্তর কাছে পৌঁছে দিতে পারে | Social Media এবং বিজ্ঞাপন ইত্যাদির মাধ্যমে l যেটা অ্যানালক মার্কেটিং এ কোনভাবেই সম্ভব ছিল না |
3.2. ওয়েবসাইট তৈরি করে:
আপনি আপনার ব্যান্ডের নামেও একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন l যেখানে বহু সংখ্যক ভিজিটর ভিজিট করে আপনার ব্যান্ডের সমস্ত রকম তথ্য পাবে l যেমন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট বা আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে আপনার ব্যান্ডের তৈরি জিনিস বিক্রয় করতে পারেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে l
3.3. দ্রুত প্রচার:
দ্রুত প্রচারের জন্য অবশ্যই দরকার ডিজিটাল মার্কেটিং l আপনার নিজস্ব তথ্য বলুন বিজনেস বলুন আপনার কোন কিছু যে বিষয়ে আপনি প্রচার করতে চাইছেন সব থেকে দুটো প্রচার করে বহু লোকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এই ডিজিটাল মার্কেটিং l
3.4. সেভ টাইম:
প্রচার করার কাজে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয় আমাদের |
উদাহরণ: আপনি একটি নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন l সেটি প্রচারের জন্য কয়েকটা ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রান্তে আপনি পাঠিয়েছেন l কিন্তু আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর পদ্ধতি গ্রহণ করেন তাহলে ওই কিছু ব্যক্তির টাইম সেভ করা হবে সাথে আপনারও টাইম সেভ করা হবে এবং আপনি অল্প টাইমের মধ্যে আপনার বিজনেসের প্রচার ছড়িয়ে দিতে পারবেন l
3.5. ব্যয় সাপেক্ষ নয়:
আপনি যদি এর পরিধি কত বিস্তৃত তা বিবেচনা করেন তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ সর্বনিম্ন বিনিয়োগ করতে হয়। এটি বিনিয়োগে সর্বোচ্চ ফেরত পাওয়া যায়। ডিজিটাল বিক্রয়ের জন্য নতুন গ্রাহক অধিগ্রহণ ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম |
দক্ষ পেশাদারদের সাথে যেকোনো ব্র্যান্ড তাদের বিক্রয়গুলিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের বৃদ্ধির লক্ষে পৌঁছাতে পারে।
4.ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি ?
বর্তমান যুগে যে কোন বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনেকটাই বেশি l আর এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে আধুনিক কৌশলে ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেছে নিতে হয় l কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং শুধুমাত্র একটি বিষয় নয় এখানে অনেকগুলো স্বতন্ত্র বিষয় রয়েছে l এটি অনেক বিস্মিত একটি বিষয় যা সহজ অল্প কথায় বর্ণনা করা খুবই কঠিন l অনেকেই আছেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোথা থেকে বা কিভাবে এটিকে শুরু করা যায় l চলুন দেখে নেয়া যাক |.
ডিজিটাল মার্কেটিং কে প্রধানত ৯টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে l
4.1. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)
আমরা কোন কিছু তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যত্র গিয়ে পড়তে পারি তবে সঠিক সময় আমাদের সব তথ্য একবারে পেয়ে যাওয়া সম্ভব নয় l সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(SEO) যা আমাদের ডিজিটাল সমাহার একসাথে সঠিক সময় দেখায় বা সন্ধান কারীর তথ্যগুলোকে পৌঁছে দেয় l
“সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)” এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেজগুলি সার্চ ইঞ্জিন সহ অন্যান্য খোঁজ ইঞ্জিনের মধ্যে উচ্চ স্থানে প্রদর্শিত করার জন্য ব্যবহার হয়। এই প্রক্রিয়াটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, ডিজাইন, লিঙ্ক স্ট্রাকচার, মেটা ট্যাগ, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে সম্পর্কিত।
SEO-র মূখ্য লক্ষ্য হলো ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেজগুলি SEARCH ইঞ্জিনের সাথে মিল করে সঠিক সময়ে ও সঠিক স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া , যাতে ব্যবহারকারীরা সঠিক এবং সেরা তথ্যগুলি পেতে পারেন। এটি ওয়েবসাইটের পোজিসন এবং বেশি ট্রাফিক আকর্ষণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
SEO-র মৌলিক উপায়ের মধ্যে:
- কীওয়ার্ড রিসার্চ: যে শব্দগুলি ব্যবহারকারীরা খোঁজে , সেগুলির সাথে সম্পর্কিত আপনার কানেকশন তৈরি করা।
- ওয়েবসাইটের অন-পেজ SEO: এটি আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের মধ্যে কীওয়ার্ড, মেটা ট্যাগ, বিশেষজ্ঞ বিষয়গুলি সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করার মধ্যে থাকে।
- কন্টেন্ট তৈরি এবং অপটিমাইজেশন: মানসম্পন্ন এবং উপযুক্ত কন্টেন্ট তৈরি করা, যা প্রতিটি পেজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- লিঙ্ক বিল্ডিং: অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলি থেকে আপনার ওয়েবসাইটে লিঙ্ক পেতে এবং আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি যোগদান বাড়াতে এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার হয়।
- ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা: ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইটে সহজ এবং সহজ অভিজ্ঞতা প্রদান করতে এবং ওয়েবসাইটের লোড স্পীড স্বচ্ছ রাখতে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
SEO একটি দ্বিমুখী প্রক্রিয়া – যে দিকে ব্যবহারকারীরা সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা সময় কাটায় তা স্থানাংকন বা সার্চ ইঞ্জিন কাজে আসে এবং আপনার ওয়েবসাইটকে তাদের প্রদান এবং তাদের সাথে সংযোগ করে নেয়। SEO-র সাথে সম্পর্কিত নৈতিক এবং নির্মাণিক সুচালনা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ওয়েবসাইটের দৃষ্টিকোণ দিয়ে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সুধারার সাথে মিলিত থাকে।অনেক মানুষ এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে চায় নিজের ওয়েবসাইটটি প্রথম সারিতে থাকে।
4.2. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, বা SEM, একটি উচ্চমানের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটেগরি যা ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা এবং ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষভাবে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের স্থান উন্নত করতে এবং টার্গেটেড লক্ষ্যগুলি আনতে সাহায্য করে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে – সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এবং প্যাই-প্যার-ক্লিক (PPC) বা অর্থাৎ পেই-প্যার-ক্লিক বিজ্ঞাপন।সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে আমরা উপরে প্যারাগ্রাফ আলোচনা করেছি |
PPC, অর্থাৎ পেই-প্যার-ক্লিক বিজ্ঞাপন, এটি একটি প্রক্যাটিভ প্রচার প্রক্রিয়া, যেখানে বিজ্ঞাপন দানকারী প্রতিটি ক্লিকের জন্য মূল্য পরিশোধ করে। এটি সরাসরি টার্গেটেড লক্ষ্যগুলি লাভ করতে সাহায্য করে এবং ওয়েবসাইটের মূল্য বাড়াতে সাহায্য করে, কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনের উচ্চ স্থানে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য প্রতিপূর্ণ স্থান খরচ করে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংর মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে সাহায্য পেতে পারেন, যদি আপনি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক মার্কেটিং প্রক্রিয়া এবং উন্নত অপটিমাইজেশন সাথে, আপনি আপনার উদ্দেশ্যে সাফল্য অর্জন করতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটকে আপনার লক্ষ্যগুলির দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারেন।
4.3. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি আধুনিক ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত হয়। এটি আপনার ব্র্যান্ড বা ব্যবসায়ের দৃশ্যমানতা বাড়াতে এবং লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে সাহায্য করে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি ব্যক্তিগত যত্ন এবং ব্যবসায়ের মাধ্যমে আপনার কাস্টমারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। এটি আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে এবং আপনার কাস্টমারদের সাথে একটি মৌলিক সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি ব্যবহারকারীদের প্রতিটি সামগ্রিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং ব্যবসায়ের দৃশ্যমানতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্র্যান্ড এবং উৎপাদনের বিষয়ে আপলোড করতে পারেন, যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব, এবং অন্যান্য।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি প্রভাবশালী মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা আপনার ব্র্যান্ড এবং উৎপাদনের দৃশ্যমানতা বাড়াতে এবং আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে সাহায্য করে। যেহেতু এটি ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে এবং তাদের সাথে সামগ্রিক অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আবার দুই প্রকার l
প্রথম ব্লগ বা স্টোরি মারকেটিং |
দ্বিতীয় ভিডিও মার্কেটিং |
4.4. কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
কনটেন্ট মার্কেটিং একটি মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা মূলত বিশেষভাবে তৈরি করা এবং সংবাদ, উপকথা, এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাঝানোর মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত মিডিয়া ব্যবহার করে ব্র্যান্ড অথবা ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে।
কনটেন্ট মার্কেটিং সাধারণভাবে ব্লগ পোস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ইমেল মার্কেটিং, এবং ওয়েবসাইটের সামগ্রিক কনটেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া ব্যবহার করে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।
কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সমূহের উপকারিতা বা কোনো বিশেষ তথ্য যে মাধ্যমে তাদের টার্গেট কাস্টমারদের কাছে শেয়ার করে থাকে তাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে প্রমোশনের সময় কনটেন্ট লাগবেই। আপনি কাস্টমারদের ই-মেইল করবেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিবেন বা ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন অবশ্যই সুন্দর একটি কন্টেন্টের প্রয়োজন হবে।
4.5. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer Marketing)
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এ ধরণের মার্কেটিং। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর মূল বিষয় হলো, জনসাধারণের কাছে পরিচিত এবং জনপ্রিয় এমন কাউকে দিয়ে পণ্যের প্রচারণা চালানো। হতে পারে তিনি কোনো বিখ্যাত খেলোয়াড়, সেরা কোনো অভিনেতা কিংবা জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী। মূল কথা হলো এমন কাউকে দিয়ে প্রচারণা করা যার কথা সবাই শুনে এবং বিশ্বাস করে। তখন অনেকের মনে এই ধারণা জন্ম নেয় যে, “আমার প্রিয় তারকা এই পণ্যটি ব্যবহার করে। তাহলে আমিও এই পণ্যই কিনবো।” মূলত এই ধরণের মানসিকতা তৈরি লক্ষ্যই হলো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।
4.6. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রমোট ও বিক্রির ব্যবস্থা করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতিটি সেলের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেওয়া হয় ।প্রতিটি প্রোডাক্ট বিক্রি বা সার্ভিস এর জন্য একটি করে একটি করে অ্যাপলেট লিংক দেয়া হয় যাতে ক্লিক করে কি তারা কোন কিছু কিনলে তা থেকে কিছু পরিমাণ কমিশন পাওয়া যায় l আর এই পুরো প্রক্রিয়াটাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে l
4.7. ই-মেইল মার্কেটিং/SMS মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং বা এসএস মার্কেটিং এ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি মাধ্যম l এখনকার দিনেই আপনি যখন আপনার ফোন ঘাটবেন দেখবেন হঠাৎই করে আপনার ফোনের স্ক্রিনে একটা মেসেজ ভেসে উঠবে এবং তাতে বিভিন্ন অফার লেখা থাকবে বা আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করেন দেখবেন প্রায় সময় আপনার ইমেলেতে অনেক রকম এডভার্টাইজমেন্ট আসতে থাকে l এগুলির মধ্য দিয়ে কয়েকটি বিশেষ কোম্পানি তাদের মার্কেটিং চালিয়ে থাকে l আর এই পুরো প্রসেসটাকেই আমরা ইমেইল মার্কেটিং বা এসএমএস মার্কেটিং বলে থাকি l মূলত এইগুলি একটি সেলস জেনারেট করার চেষ্টা করা হয় এবং এই মাধ্যমে পণ্য বা সেবাকে সরাসরি কাস্টমারের ইনবক্সে পাঠানো সম্ভব হয় l যেটা সেলফি দিতে কাজ করি ভূমিকা রাখে l
4.8. ভিডিও মার্কেটিং ( Video Marketing)
সাধারণত আমরা ফোনে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপ চ্যাট এর মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলি ইউজ করি তার মধ্যেই হঠাৎই আমাদের সামনে শুরু হয়ে যায় একটি ভিডিও কয়েক সেকেন্ডের জন্য l এবং আমরা দেখি সেই ভিডিওতে কয়েকটি এড দেখানো চলছে এর মাধ্যমে আমাদের প্রোডাক্টের প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে বা প্রোডাক্টের সার্ভিসকে প্রমোট করছে l এই আর এই সম্পূর্ণ প্রসেসটা কি আমরা ভিডিও মার্কেটিং বলে থাকি l
4.9. সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing)
সিপিএ শব্দের পূর্ণরূপ হল Cost Per Action. বর্তমানে অনেক ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছেন যারা সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছেন। সিপিএ মার্কেটিং হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং প্রক্রিয়া, যেখানে কোনও প্রোডাক্ট বা সেবা বিপণন করতে মার্কেটার কাস্টমারদের অভিজ্ঞতা দেয় এবং একটি স্থায়ী গ্রাহক বেস তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াটি উপাদানে সহায়ক হতে পারে ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কে এবং সার্ভিস বা প্রোডাক্টের দিকে গ্রাহকের মনোনিবেশ সৃষ্টি করে। সিপিএ মার্কেটিং উচ্চ মানের প্রোডাক্ট বা সেবা উপস্থাপন করে এবং স্থায়ী গ্রাহক বেস তৈরি করে কোম্পানির উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলে ” ডিজিটাল মার্কেটিং “ বিষয়টি জানানোর ছিল l আশা করি আমাদের লেখা এই আর্টিকেল থেকে আপনাদের কাছে এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং আপনারা সহজেই বুঝতে পেরেছেন |
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের ” ডিজিটাল মার্কেটিং “ বিষয়ে জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।
এছাড়া আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং টিপস এবং ট্রিক্স পেতে চান? তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।কারন আপনাদের বহুমূল্য কমেন্ট আমাদেরকে আরো সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে তে সাহায্য করবে এবং আরো ভালো কিছু শেখার জিনিস নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারব l
বিশেষত আপনারা কোন ধরনের আর্টিকেল চাইছেন যদি আমাদের কমেন্ট এ জানান তাহলে আমরা সেই বিষয়ে আর্টিকেল আনার চেষ্টা করব l
Eta porar por ami complite bujte parlam j Degital marketing ki ….
Thank you so much .
Thank you for visit my blog and welcome other topic