নিউমোনিয়া গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হতে পারে।ঠান্ডার সময় বা শীতের সময় এই রোগের প্রবণতা বাড়ে বা বেশি দেখা যায়। world health organization এর সমীক্ষা অনুযায়ী ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর মধ্যে ১৪ শতাংশ নিউমোনিয়া দায়ী। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭৪০১৮০ শিশু নিউমোনিয়া অসুখে মারা গেছে।মানুষের জীবনে স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । আমরা সবাই আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন কমবেশি করেই থাকি, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল প্রধান বিষয় নিয়ে চিন্তা করি, এবং নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের জন্য যে সমস্যাগুলি তৈরি হয় তা বুঝতে আমরা চেষ্টা করি। নিউমোনিয়া একটি সমস্যা যা স্বাস্থ্যের জন্য গম্ভীর হতে পারে এবং তা নিয়ে আমাদের আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
নিউমোনিয়া সাধারণভাবে একটি সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি বা কাশির মত সাধারণ রোগ মনে হয়, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা মানবদেহের শ্বাসকণ আক্রান্ত করতে পারে এবং গম্ভীর এবং জটিলতম সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই নিবন্ধে, আমরা নিউমোনিয়া গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা, কারণ, লক্ষণ, প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, এবং প্রতিরোগনসূচী সম্পর্কে আলোচনা করব।
সুচিপত্র
নিউমোনিয়া কি?
নিউমোনিয়া হল একটি জ্বরের সমস্যা, যা সাধারণভাবে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারণে উত্পন্ন হয়।আমরা যখন শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে থাকি তখন শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে বাতাস টি সরাসরি ফুসফুসের মধ্যে পৌঁছায়। আর এই সকল শ্বাসনালী কে ব্রংকাই বলা হয়ে থাকে যারা বাতাসকে সরাসরি ফুসফুসের মধ্যে পৌঁছে দেয়।এখন ব্রংকাই গুলি বাতাস কে ফুসফুসের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়ে সংকুচিত হয়ে অনেক ব্রংকিও বা শাখা বিস্তার করে যেগুলি ফুসফুসের মধ্যে অ্যালভিওলাই নামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র থলি গুচ্ছের মধ্যে এসে শেষ হয়।এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুসফুসের থলিগুলো যখন উত্তেজিত হয় এবং তরল দিয়ে ভর্তি হয়ে যায়, সেটাকেই আমরা সাধারণত নিউমোনিয়া বলে থাকি। নিউমোনিয়া সাধারণভাবে হতে পারে এবং এটি সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারণে মানুষের জীবনে মৃত্যুর পর্যন্ত ঘটাতে পারে। সাধারণভাবে, এটি ব্যক্তির ফেফড়ের বা প্রোস্টেটের সংকোচন হওয়ার সাথে সরাসরি যুক্ত।এই রোগটি আপনার ফুসফুসের মধ্যে স্থানান্তরিত হয় এবং তা মৌখিক ভাবে আপনার শ্বাসনালী পথে বা বৃহৎ প্রাণবায়ুপথের মধ্যে আসতে পারে।

নিউমোনিয়া প্রকারভেদ
ব্যক্তির আক্রান্তের ওপর নির্ভর করে নিউমোনিয়াকে বিভিন্ন প্রকার ভাগ করা যায়। সেগুলি হল:
- ভেন্টিলেটর-সম্পর্কিত নিউমোনিয়া: ভেন্টিলেটর ব্যবহার করলে অনেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। একে ভেন্টিলেটর-সম্পর্কিত নিউমোনিয়া বলা হয়।
- সম্প্রদায়-অর্জিত নিউমোনিয়া: এই ধরনের নিউমোনিয়া ঘটে যখন একজন ব্যক্তি হাসপাতালের সেটিং এর বাইরে আক্রান্ত হয়।
- হাসপাতাল-অর্জিত নিউমোনিয়া: হাসপাতালে থাকার সময় এই ধরনের ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি সবচেয়ে গুরুতর সংক্রমণ কারণ এই ধরনের নিউমোনিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়।
- শ্বাসাঘাত নিউমোনিয়া: খাবার, পানীয় বা লালা থেকে আপনার ফুসফুসে অণুজীব শ্বাসের দ্বারা নেওয়ার কারণে অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া হয়।। এই ধরনের সংক্রমণ এমন লোকেদের মধ্যে ঘটে যারা সঠিকভাবে গিলতে পারে না।
নিউমোনিয়া উপসর্গসমূহ
এই উপসর্গগুলি কয়েকদিন ধরে ধীরে ধীরে বা দুদিনের মধ্যে হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে।উপসর্গগুলি হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে, নিউমোনিয়ার উপসর্গসমূহ নিম্নলিখিত:
পরিচিত উপসর্গ
- জ্বর
- দুর্বল বা অসুস্থ হওয়ার অনুভূতি
- কাশি
- খিদে না থাকা
- ঘাম হওয়া,
- শরীরের মধ্যে কম্পন,
- অত্যাধিক ক্লান্তি,
- সাধারণ অবস্থায় নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট,
- দ্রুত হৃদস্পন্দন,
- বুকের ব্যথা( বিশেষ করে যখন শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া হয় )
কম পরিচিত উপসর্গ
- শ্বাস নেওয়ার সময় সা সা আওয়াজ,
- শরীরে মধ্যে ব্যথা
- মাথা ধরা,
- বমি বমি ভাব বা বমি করা
- অবসাদ
নিউমোনিয়া লক্ষণ
- প্রাথমিক লক্ষণ: প্নেমোনিয়ার আগের সাধারণ লক্ষণে অন্তর্ভুক্ত হয়: জ্বর, শ্বাসকণে স্ত্রাব অথবা শ্বাস ফেলা, শ্বাস দু: স্থিরতা, শ্বাসনে কাশি, সিনাস দ্বারা ব্যাথা অথবা দু: স্থির স্থানে ব্যথা, মৃদু গায়ে প্রয়োগ এবং শ্বাসকণ নীলা বা বাদামী হয়।
- ব্যাকটিরিয়াল প্নেমোনিয়ার লক্ষণ: যেহেতু ব্যাকটিরিয়াল প্নেমোনিয়া সাধারণভাবে শ্বাসকণ ইনফেকশনের ফলাফলে উত্তেজনা হয়, এর লক্ষণ গম্ভীর হতে পারে এবং সাধারণভাবে এই লক্ষণ দেখা যায়: উন্নত জ্বর, শ্বাসনে আক্রমণ, ব্যথা এবং শ্বাসদ্বারা নিঃশ্বাস, আবেগ, উণ্ড়ুয়েদ, শ্বাসকণে রক্তবর্ষণ, ব্যাথা, এবং মুখের চামড়া দ্বারা মগ্ন হওয়া।
- ভাইরাস প্নেমোনিয়ার লক্ষণ: ভাইরাস প্নেমোনিয়া সাধারণভাবে শিশুদের সাথে সম্পর্কিত হয় এবং যেহেতু যে সবচেয়ে সাধারণ ভাষা শিশুদের সাথে সম্পর্কিত, এই রোগটি শিশুদের মধ্যে সাধারণভাবে দেখা যায়: উণ্ড়ুয়েদ, মুখের চামড়া দ্বারা মগ্ন হওয়া, এবং একটি দুর্বল অবস্থা। যেহেতু এটি সাধারণভাবে শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, এই রোগটি মাত্র একটি সাধারণ ঠান্ডা বা সর্দির মত দেখা যায় না।

নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ
নিউমোনিয়া বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোন জীবাণুর দ্বারা সৃষ্টি হয় এবং আপনার ফুসফুসের মধ্যে প্রবেশ করে বাতাসের থলিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বায়তুলিতে কুঁচ বা তরল দিয়ে ভরিয়ে তোলে। মুনিয়া হওয়ার কারণ গুলি হল:
- ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়া হতে পারে এমন সাধারণ ব্যাকটেরিয়া হল স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া।
- নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে এমন সাধারণ ভাইরাসগুলির মধ্যে রয়েছে রাইনোভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস, হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস ইত্যাদি।
- ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল নিউমোনিয়ার উপসর্গ প্রায় একই কিন্তু ভাইরাল সংক্রমণ হালকা উপসর্গ সৃষ্টি করে যেখানে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।
- নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী সাধারণ ছত্রাকের মধ্যে রয়েছে Cryptococcus প্রজাতি, pneumocystis jirovecii, ইত্যাদি। ছত্রাকের নিউমোনিয়া হয় পাখির বিষ্ঠা বা মাটির কণাতে উপস্থিত ছত্রাকের কারণে।
- শ্বাসাঘাত নিউমোনিয়া: এটি বমি, চিনাবাদামের মতো একটি বস্তু বা রাসায়নিক বা ধোঁয়ার মতো ক্ষতিকারক পদার্থের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে ঘটে।
- ভাইরাল নিউমোনিয়া: এই অবস্থাটি বেশিরভাগ শ্বাসযন্ত্রের সিনসিটিয়াল ভাইরাস (RSV) দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি কখনও কখনও ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ A বা B দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এটি ছোট বাচ্চাদের মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ।
- ছত্রাকের নিউমোনিয়া: একটি ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট নিউমোনিয়া বিরল এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লোকেদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা বেশি।
- হাসপাতালে অর্জিত নিউমোনিয়া: এই অবস্থাটি এমন একটি যা হাসপাতালে অন্য কোনো অবস্থার জন্য চিকিত্সা করার সময় বা অপারেশন করার সময় বিকাশ লাভ করে। নিবিড় পরিচর্যায় থাকা ব্যক্তিরা যারা শ্বাস-প্রশ্বাসের মেশিনে রয়েছেন তাদের ভেন্টিলেটর-সম্পর্কিত নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
নিউমোনিয়া কোন ব্যক্তিদের ওপর ঝুঁকির কারণ
নিউমোনিয়া সকল ব্যক্তির মধ্যেই হতে পারে। তবে কিছু ব্যক্তির উপর নিউমোনিয়া বিশেষভাবে ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেগুলি হল :
- বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ করে যাদের বয়স ৬৫ এর উপরে।
- নবজাতক শিশুদের উপর। যারা দুই বা দু বছরের কম বয়সী শিশু তাদের মধ্যে নিউমোনিয়ার প্রভাব বেশি দেখা যায়।
- ইমিউনিটি কম : এইচআইভি এইডসের মতন গুরুতর রোগী এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ও কেমোথেরাপি পদ্ধতিকে অবলম্বন করে চলছেন তাদের মধ্যে এই অসুখ হওয়া ঝুঁকি বেশি।
- ধূমপান: ধূমপানের ফলে সাধারণত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি হয়, যা ধূমপায়ী ব্যক্তির দেহে নিউমোনিয়ার মতো সংক্রমণের প্রবণতা তৈরি করে।
- দীর্ঘস্থায়ী রোগের উপস্থিতি: হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে একজন ব্যক্তিকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে
নিউমোনিয়া চিকিৎসা
নিউমোনিয়ায় হল একটি জ্বরবিশেষ রোগ যা হৃদয়, ফুসফুস এবং পরিমাণগুলির জন্য জনপ্রিয।এটির চিকিৎসা নির্ভর করে রোগীর প্রকার ও তীব্রতা এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের উপর। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত। প্নেমোনিয়ার চিকিৎসা নিম্নলিখিত ধাপে সম্পাদিত হয়:
প্রাথমিক চিকিৎসা:
নিউমোনিয়ায় রোগীর জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হল বিশ্রাম এবং পরিমিত পরিবেশে থাকা। রোগীকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত যাতে তার শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার হতে পারে। এছাড়াও, রোগীকে পরিমিত পরিবেশে থাকতে হবে যেখানে তার সাথে অন্যান্য লোকের সংস্পর্শ কম থাকবে।

অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা:
সাধারণত নিউমোনিয়ায় রোগের জন্য ডক্টররা অ্যান্টিবায়োটিক দেয় যা রোগের সমস্যাগুলি কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান করা হয় যাতে রোগের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা যায়। ডক্টর রোগীর রোগের ধরণ এবং তার শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে উচিত অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করেন।
পরিশ্রম এবং খাদ্য:
নিউমোনিয়ায় রোগীর জন্য উচ্চ পরিমাণের পরিশ্রম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এটি রোগীকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে এবং তাঁর শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
প্রতিরোধক্ষমতা উন্নয়ন:
নিউমোনিয়ায় রোগীদের প্রতিরোধক্ষমতা উন্নয়ন করতে হবে। এটি রোগীকে আস্থায়ী প্রতিরোধক্ষমতা প্রদান করে এবং আগাম রোগের ঝুঁকিটি কমাতে সাহায্য করে। রোগীকে নির্দেশ করা হয় যে তারা নিয়মিত পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং শর্করা সাপ্লিমেন্ট খাবার খেতে হবে।
নিউমোনিয়ায় চিকিৎসা সম্পূর্ণ হলে রোগী স্বাস্থ্যবান হয়ে যায় এবং তাঁর জীবনকে উন্নয়ন করে। তবে, একটি ডক্টরের পরামর্শ অবশ্যই প্রয়োজন যাতে সঠিক চিকিৎসা প্রদান হতে পারে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করবেন
কিছু ভালো অভ্যাস নিউমোনিয়া এবং গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জলেতে পরিষ্কারভাবে হাত ধোয়া।
- হাঁচি দেয়ার সময় মুখ বা নাক ঢেকে রাখা।
- যেসব আসবাবপত্র আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি সেই জিনিসগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। যেমন: রিমোর্ট, মোবাইল ফোন, দরজার নব, হাতাল ইত্যাদি।
- অপরিষ্কার হাত না ধুয়ে মুখ চোখ কান নাক স্পর্শ থেকে বিরত থাকা।
- যাদের সর্দি কাশি বা শ্বাসকষ্টের প্রবলেম আছে তাদের থেকে এড়িয়ে চলা।
- ধূমপান বন্ধ করা।
- সময় মতো টিকা নেওয়া
উপসংহার
একটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাল বা ফুসফুসের সংক্রমণ নিউমোনিয়া নামে পরিচিত। সংক্রমণের প্রতি ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া ফুসফুসের বায়ু থলি ফুলে যায় এবং তরল এবং পুঁজ দিয়ে পূর্ণ হয়। উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি শ্লেষ্মা বা না হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। নিউমোনিয়া নির্ণয় করার জন্য, আপনার ডাক্তার আপনাকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা করবেন । তারা অতিরিক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারে, যেমন বুকের এক্স-রে। ডাক্তারকে দেখান, কারণ আরও গুরুতর পরিণতি এড়াতে বা চিকিৎসা করার জন্য আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার হতে পারে।
নিউমোনিয়া সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাস্য
এখানে কিছু প্নেমোনিয়া সম্পর্কিত জনপ্রিয় প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া হলো:
১. নিউমোনিয়া কি?
উত্তর: নিউমোনিয়া হলো শ্বাসতন্ত্রের একটি জন্যকারী রোগ যা শ্বাসকষ্ট এবং ফ্লুইডের সংক্রমণের ফলে শ্বাসকষ্টের কারণে একটি পুঁজ গঠন করে।
২. নিউমোনিয়া কি কারণে হয়?
উত্তর: নিউমোনিয়া হতে পারে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস বা প্যারাজিটেরিয়া সংক্রমণের ফলে। যেমন প্নেমোনিয়া প্যাটেন্টস ব্যাকটেরিয়া এবং প্নেমোনিয়া ভাইরাস এর কারণে হতে পারে।
৩. নিউমোনিয়া এর লক্ষণ কি?
উত্তর: নিউমোনিয়া লক্ষণগুলি হতে পারে বুকের বা পেটের ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা, শ্বাসক্ষত এবং শরীরের অন্যান্য অংশগুলির সমস্যা।
৪. নিউমোনিয়া কীভাবে চিকিৎসা করা হয়?
উত্তর: নিউমোনিয়া চিকিৎসা করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। মারাত্মক প্নেমোনিয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।
৫. নিউমোনিয়া কি প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর: নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত হাত ধুয়ে থাকা, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা, প্রতিরোধক্ষমতা উন্নয়ন করা, নিয়মিত এক্সারসাইজ করা এবং প্রতিষ্ঠানিক প্রতিরোধক্ষমতা টিকা গ্রহণ করা উচিত।
এই উত্তরগুলি সাধারণত নিউমোনিয়া সম্পর্কিত জনপ্রিয় প্রশ্নের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে। তবে, একটি ডক্টরের পরামর্শ অবশ্যই প্রয়োজন যাতে সঠিক চিকিৎসা হতে পারে।
শেষকথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলে ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক ধারণা এই বিষয় জানানোর ছিল।আশা করি আমাদের দেয়া তথ্য থেকে আপনার ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর আমাদের লেখাটা যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে প্লিজ এটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু- বান্ধব দের সাথে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন।
এছাড়া আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং টিপস এবং ট্রিক্স পেতে চান? তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।কারন আপনাদের বহুমূল্য কমেন্ট আমাদেরকে আরো সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে তে সাহায্য করবে এবং আরো ভালো কিছু শেখার জিনিস নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারব l
বিশেষত আপনারা কোন ধরনের আর্টিকেল চাইছেন যদি আমাদের কমেন্ট এ জানান তাহলে আমরা সেই বিষয়ে আর্টিকেল আনার চেষ্টা করব l
1 thought on “নিউমোনিয়া-2023”
Comments are closed.