ব্যবসায়ের সমস্যা: পরিচিতি (Business Problems: Introduction)
আমরা যদি আজ থেকে কয়েক বছর পেছনের দিকে যাই, তাহলে দেখা যাবে যে, করোনা কালে বহু লোক তাদের চাকরি জীবন থেকে বিরত হয়েছে। তাই বর্তমান যুগে বেশিরভাগ ব্যক্তিরা চাকরি থেকে ব্যবসার দিকে এগিয়ে আসছে। ব্যবসা শুরু করছে এবং বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।আজ আমরা এই আর্টিকেলে ব্যবসায়ের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব
ব্যবসা করা অত সহজ না। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ যেখানে আপনাকে নিজের একটি পরিচিতি তৈরি করতে হয়, আর পরিচিতি ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আপনার ব্যবসায় উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।আপনি আপনার ব্যবসার সঠিক পরিচিতি না আনতে পারলে, আপনি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
একটি ভাল পরিচিতি তৈরি করার জন্য আপনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারেন। প্রথমেই, আপনার কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। আপনি তাদের জানাতে পারেন আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য, মিশন এবং মূল্যবান পরিষেবা গুলি সম্পর্কে।পরিচিতির অভাবের কারণে ব্যবসায়ের যেসব সমস্যা হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহক সংগ্রহে সমস্যা: পরিচিতি না থাকার কারণে ব্যবসা নতুন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে না। ফলে ব্যবসার বিক্রয় কমে যায় এবং লাভের পরিমাণ হ্রাস পায়।
- প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া: পরিচিতি থাকা ব্যবসা বা ব্যবসায়ীগুলিতাদের প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে থাকে। কারণ, তারা সহজেই নতুন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায় এবং তাদের ব্যবসার প্রচার করতে পারে।
- ব্যবসায়ের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: আপনি যত ভালই পণ্য বা সেবা প্রদান করেন না কেন, আপনার ব্যবসার পরিচিতি সঠিক না থাকার কারণে বহু মানুষের কাছে পৌঁছায় না, তাতে আপনার ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি আপনার ব্যবসার এর পরিচিতির জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন। সেগুলি হল…
- বিজ্ঞাপন: আপনি আপনার ব্যবসার পরিচিতি করানোর জন্য বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আপনি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তাতে আপনার ব্যবসা বহু মানুষের কাছে অতি সহজে পৌঁছে যেতে পারে।
- আপনার ব্যবহার: আপনার ব্যবহার ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার ব্যবহার দিয়ে বহু কাস্টমারের মন জয় করতে পারেন এবং তাদের আপনার ব্যবসায়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেন।
- আপনার ব্যবসার অনন্য selling point (USP) : অন্যান্য ব্যবসায়িকদের থেকে আপনার ব্যবসায়ের আলাদা দিকগুলো কাস্টমারের কাছে তুলে ধরুন। যাতে তারা আপনার এই পরিষেবা গুলি গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
সুচিপত্র
ব্যবসায়ের সমস্যার ধরন (Types of Business Problems)
ছোট-বড় যেকোনো ধরনের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। ব্যবসায় সমস্যার ধরন গুলি নিম্নলিখিত

ব্যবসায়ের আর্থিক সমস্যা: কারণ ও সমাধান
ব্যবসায়ের সাফল্য নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। এর মধ্যে আর্থিক সমস্যা অন্যতম। আর্থিক সমস্যার কারণে ব্যবসার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই ব্যবসায়ের আর্থিক সমস্যার কারণ ও সমাধান সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
ব্যবসায়ের আর্থিক সমস্যার কারণ
ব্যবসায়ের আর্থিক সমস্যার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো:
- অপরিকল্পিত ব্যয়: ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যয়ের পরিমাণ ও উৎস সম্পর্কে পরিকল্পনা না থাকলে আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
- অপরিকল্পিত বিনিয়োগ: ব্যবসায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিনিয়োগ করলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অপ্রত্যাশিত খরচ: ব্যবসার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় খরচের জন্য আপনার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি: বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ের আয় কমে যেতে পারে, ফলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্যবসায়ের আর্থিক সমস্যার সমাধান
- ব্যয়ের পরিমাণ ও উৎস সম্পর্কে পরিকল্পনা করা: ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যয়ের পরিমাণ ও উৎস সম্পর্কে পরিকল্পনা করা জরুরি। তাতে আপনি আপনার অত্যাধিক ব্যয় রোধ করতে সক্ষম হবেন।
- অপ্রত্যাশিত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকা: ব্যবসার ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি। এজন্য ব্যবসার আয়ের একটি অংশ জরুরি তহবিল হিসাবে রাখা যেতে পারে।
- বাজারে প্রতিযোগিতার সাথে তাল মিলিয়ে চলা:বাজারে প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই দরকার। তার জন্য আপনাকে কখনো কখনো আপনার পণ্য বা সেবার নতুনত্ব আনা, পণ্যের দাম কমানো, অন্যের সাথে অন্য কোন পণ্য অফার দেওয়া ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
ব্যবসায়ের আর্থিক সমস্যা প্রতিরোধ
- পরিকল্পিতভাবে ব্যবসা শুরু করা: ববসা শুরু করার আগে ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া দরকার এবং একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা অতি আবশ্যক।
- ব্যবসার আয় ও ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ ঠিকঠাক রাখা: ব্যবসার আয় ও ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ ঠিকঠাক রাখা জরুরি। এতে করে ব্যবসার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।
- ব্যবসার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা: ব্যবসায় সবসময় ঝুঁকি থাকে। তাই ব্যবসায়ের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সেগুলো মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
ব্যবসায়ের বাজার সংকট: কারণ ও প্রতিকার
ছোট হোক বা বড় উভয় ব্যবসার ক্ষেত্রে মার্কেট বা বাজার বিশেষভাবে ভূমিকায় অংশ নিয়ে থাকে। আর এই বাজারে যখন সংকট আসে তখন আপনার বিজনেসে মন্দ্রা বা লস হতে পারে। এমনকি বক্স বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই ব্যবসায়ের বাজার সংকট সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সংকট মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা খুবই জরুরী হয়ে ওঠে।
বাজার সংকটের কারণ
বাজার সংকটের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো:
- অর্থনৈতিক মন্দা: অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষের পণ্য কিনার ক্ষমতা কমে যায়, ফলে ব্যবসায়ের চাহিদা কমে যায়।
- প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি: বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ের আয় কমে যেতে পারে।
- প্রযুক্তির উন্নয়ন: প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে নতুন পণ্য বা সেবা বাজারে আসতে পারে, ফলে ব্যবসায়ের চাহিদা কমে যেতে পারে।
- সময় বা অনুষ্ঠান: বিভিন্ন সময় এবং অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করে আপনার পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে, এতে আপনার বিজনেস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাজার সংকট মোকাবেলা
বাজার সংকট মোকাবেলার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
- ব্যবসার পণ্য বা সেবায় নতুনত্ব আনা: ব্যবসার পণ্য বা সেবায় নতুনত্ব আনলে ব্যবসায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
- ব্যবসার দাম কমানো: ব্যবসার দাম কমালে ব্যবসায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
- ব্যবসার খরচ কমানো: ব্যবসার খরচ কমালে ব্যবসার লাভ বৃদ্ধি পাবে।
- ব্যবসার ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা পরিবর্তন করা: ব্যবসায়ের ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা পরিবর্তন করলে ব্যবসার আর্থিক চাপ কমবে।
- অফার: আপনি আপনার ব্যবসায় পণ্য বা সার্ভিসের ওপর অফার তৈরি করতে পারেন তাতে আপনার বিজনেস এর কাস্টমার বৃদ্ধি পাবে আর আপনার ব্যবসায়ের চাহিদা বাড়তে থাকবে।
বাজার সংকট প্রতিরোধ
বাজার সংকট প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো হল:
- নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা: আপনার বিজনেসে জন্য উপযুক্ত নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা এবং উন্নত মানের আরো প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখা।
- বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা: বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
- ব্যবসার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা: ব্যবসায় সবসময় ঝুঁকি থাকে। তাই ব্যবসায়ের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সেগুলো মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
- ব্যবসার আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করা: ব্যবসার আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হলে সংকট মোকাবেলা করা সহজ হবে।

ব্যবসায়ের সমস্যা সমাধান (Solving Business Problems)
ব্যবসায় সমস্যা দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে, সমস্যার সমাধান না থাকলে তা ব্যবসার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধান করার মাধ্যমে আপনার বিজনেস এর উন্নতি করা সম্ভব।
ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধান করার উপায়
ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধান করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
- সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করা: প্রথমেই ব্যবসায়ের যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। এজন্য ব্যবসার সমস্ত দিক পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
- সমস্যাগুলোর কারণ নির্ণয় করা: সমস্যাগুলোর কারণ নির্ণয় করা জরুরি। কারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে সমস্যার মূলোৎপাটন করা সম্ভব হবে।
- সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা: সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধানের সুবিধা
ব্যবসায়ের সমস্যার শৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাওয়া যায়:
- সমস্যার মূল দিক নির্ণয় করা: সমস্যার শৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যার মূল কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। ফলে সমস্যার মূলোৎপাটন করা সম্ভব হয়।
- সমস্যার সমাধানে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়: সমস্যার শৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যাগুলোকে সহজেই চিহ্নিত এবং সমাধান করা সম্ভব হয়। ফলে সমস্যা সমাধানে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
- ব্যবসার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়: সমস্যার শৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। কারণ সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে ব্যবসার দক্ষতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু টিপস
ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে:
- কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করা: কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে।
- গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নেওয়া: গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে।
- বাজার গবেষণা করা: বাজার গবেষণা করে ব্যবসায়ের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে।
- সমস্যা সমাধানের জন্য একটি দল গঠন করা: সমস্যা সমাধানের জন্য একটি দল গঠন করা জরুরি। দলের সদস্যদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে।
ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধান করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটি ব্যবসার সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। তাই ব্যবসায়ের সমস্যার শৃঙ্খলা বা সমাধান সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

ব্যবসায়ের প্রশাসনিক পরিচালনা ও প্রবন্ধন (Business Administration and Management)
ব্যবসায়ের সাফল্য নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। এর মধ্যে Administration and Management একটি মূল্যবান বিষয়।
ব্যবসায়ের পরিচালনা করা
ব্যবসা পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেকদিন সঠিকভাবে ব্যবসা চালানো। এর মধ্যে রয়েছে:
- কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া: ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেকদিন সুষ্ঠুভাবে কাজকর্ম চলার জন্য দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হয়। নতুন কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া এটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- ব্যবসার সম্পদ ও সম্পত্তি পরিচালনা করা: ব্যবসার সম্পদ ও সম্পত্তি রক্ষা ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা, পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা করা: ব্যবসার আয় ও ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ করা, ঋণ পরিশোধ করা, এবং ব্যবসার আর্থিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা।
- ব্যবসার আইনি বিষয়গুলো পরিচালনা করা: ব্যবসার আইনি বিষয়গুলো যেমন: লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি সঠিক আছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখা।
ব্যবসায়ের Administrator
ব্যবসায়ের Administration হল ব্যবসার আর্থিক অবস্থা ও কার্যক্রমের হিসাব তৈরি করা। Administration-এর মাধ্যমে ব্যবসার আয়, ব্যয়, লাভ-ক্ষতি, সম্পদ ও দায়ের পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়। Administration ব্যবসার মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী, এবং অন্যান্য পক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ব্যবসায়ের Administration and Management গুরুত্ব
ব্যবসায়ের Administration and Management গুরুত্ব অপরিসীম। এগুলো ব্যবসার সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। প্রশাসনিক পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসার দৈনন্দিন কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়। আর এর মাধ্যমে ব্যবসার আর্থিক অবস্থা ও কাজকর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ের Administration and Management জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
ব্যবসায়ের Administration and Management জন্য নিম্নলিখিত দক্ষতাগুলো প্রয়োজন:
- ব্যবসায়িক জ্ঞান: ব্যবসার দৈনন্দিন কার্যক্রম Administration and Management তৈরির জন্য ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
- প্রযুক্তিগত দক্ষতা: Administration জন্য কম্পিউটার ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
- যোগাযোগ দক্ষতা: ব্যবসার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা জন্য যোগাযোগ দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
- সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা: ব্যবসার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা জন্য সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রস্তুতি (Advanced technology in business and agriculture)
বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির উন্নতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।এই প্রযুক্তির উন্নতির জন্য ব্যবসা গুলিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আর এইসব উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরো দক্ষতা ও লাভজনক বিজনেস করা সম্ভব হয়ে উঠছে।
ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তি
ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তি বলতে এমন প্রযুক্তি বোঝায় যা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় কার্যকর ও দক্ষ। এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবসায়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রযুক্তি হলো:
- ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT): ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যা দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্রকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে। IoT ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ ও দক্ষ হয়।
- Video প্রযুক্তি: বর্তমানে অনেক ভিডিও থেকেই অনেক কিছু শিখে থাকি, আর নতুন কর্মচারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেয়ার অন্যতম মাধ্যম হল ভিডিও প্রযুক্তি।
- ইন্টারনেট সাইট বা মোবাইল অ্যাপ: বিজনেস সাইড বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেস পরিধি বাড়াতে পারেন। আর এটি নতুন প্রযুক্তি যুগে বড় অংশ বা ভূমিকা নিয়ে থাকে।
ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুতি
ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- প্রযুক্তিগত জ্ঞান: ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা জরুরি।
- অর্থনৈতিক সামর্থ্য: ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকা জরুরি।
ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা
ব্যবসায়ের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্য সুবিধাগুলো হল:
- দক্ষতা বৃদ্ধি: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা দক্ষ হয়।
- কার্যকারিতা বৃদ্ধি: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা কার্যকর হয়।
- লাভজনকতা বৃদ্ধি: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসায়ের লাভজনকতা বৃদ্ধি পায়।যেমন: অনলাইন মাধ্যমে বিজনেস করা
- প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় সুবিধা পাওয়া যায়।

শেষকথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলে ব্যবসায়ের সমস্যা বিষয় জানানোর ছিল।আশা করি আমাদের দেয়া তথ্য থেকে আপনার ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।কারন আপনাদের বহুমূল্য কমেন্ট আমাদেরকে আরো সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে তে সাহায্য করবে এবং আরো ভালো কিছু শেখার জিনিস নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারব l
আর আমাদের লেখাটা যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে প্লিজ এটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু- বান্ধব দের সাথে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন।
এছাড়া আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং টিপস এবং ট্রিক্স পেতে চান? তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
বিশেষত আপনারা কোন ধরনের আর্টিকেল চাইছেন যদি আমাদের কমেন্ট এ জানান তাহলে আমরা সেই বিষয়ে আর্টিকেল আনার চেষ্টা করব l
নতুন নতুন খবরের আপডেট পেতে ক্লিক করুন
ভারতবর্ষের যে কোন প্রান্তের পিনকোড সার্চ করার জন্য ক্লিক করুন