ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ও আয় বানাবেন কি ভাবছেন ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য | এই গাইড লাইন সম্পর্কে আজকের পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব l
আসুন প্রথমেই আমরা জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং টা কি?
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের আশেপাশে প্রায় সময় শুনে থাকি ডিজিটাল মার্কেটিং কথাটি | Actually, ডিজিটাল ডিভাইস এবং প্রযুক্তি (মোবাইল ,কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি) ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করাটাই হল ডিজিটাল মার্কেটিং l যেটাকে আমরা অনলাইন মার্কেটিং বা প্রচারণাও বলে থাকি l তবে আমরা সচরাচর ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ফেসবুক ইউটিউব মার্কেটিং কেই বুঝি কিন্তু সত্যি বলতে এর পরিধি অনেক বিশাল lডিটেল মার্কেটিং এর অনেকগুলো দিক রয়েছে যেমন….

কনটেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অফ টিমাইজেশন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কপিরাইটিং, বিজনেস এনালিটিক্স ইত্যাদি |
সূচিপত্র:
1. ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
দিন যত কাটছে মানুষ ততই ডিজিটাল মার্কেটিং কে আপন করে নিচ্ছে কারণ বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ l কোন ব্যবসায়ী তার বিজনেসের প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কে সিলেক্ট করে নিচ্ছে l আবার অন্যদিকে কোন ক্রেতা কোন কিছু ক্রয় করার জন্য প্রথমে ইন্টারনেটে গিয়ে সেই পণ্যটির ব্যাপারে সবকিছু জেনে তারপর অনলাইনে সেটি ক্রয় করে নিচ্ছে l এখন মানুষ অনেক স্মার্ট তাই কোন টাইম নষ্ট না করে দোকানে দোকানে না ঘুরে অনলাইনে মাধ্যমিক কেনাকাটা করে থাকে l
- সমগ্র বিশ্বে মোট ৬০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যাটি নিয়মিতভাবে বেড়ে চলেছে। মানুষ যত বেশি ইন্টারনেটে ব্যবহার করবে তত বেশি মানুষের সামনে আপনি আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন।
- বর্তমান বিশ্বে মোট প্রায় ৯০.৯৭ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যা খুবই দ্রুত গতির সাথে বেড়ে চলেছে। এখন অনেক মানুষ আছে যারা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্যে। আর এই মোবাইল ফোন হচ্ছে ক্রেতার তথ্য কালেকশনের অন্যতম মাধ্যম। কারণ প্রায় সকল মোবাইল ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। তাই এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।
- এছাড়া আরো একটি সার্ভে রেজাল্ট দেখিয়েছে যে, সারা বিশ্বে ৫৫ শতাংশ মানুষ যেকোন পন্য ক্রয়ের জন্যে সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। মানে হচ্ছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাদের পছন্দের পণ্য সম্পর্কে তথ্য এবং রিভিউ জানতে পারে। আর ক্রেতা যার প্রেজেন্টেশন ও পণ্যকে পছন্দ করবে তার কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই ক্রয় করে ফেলে।
- ৩.৫ বিলিয়ন ই-কমার্স ক্রেতা গুগলে সার্চ করে তাদের পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে।
- বিশ্বে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে। এই সংখ্যাটিও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
এখন হয়তো আপনি কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং টা কতটা বিস্তার ছড়িয়ে ফেলেছে lযদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং টা সম্পূর্ণভাবে শিখে নিতে পারেন তাহলে আগামী দিনে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না lআপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসাবে এক, দু বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হন তাহলে আপনি এখনই বাসে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন l
2. ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজের লিস্ট
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার বানাতে গেলে প্রথমেই মাথায় প্রশ্ন আসে, কাজ কি করতে হবে অর্থাৎ কাজের ধরন গুলো কি কি হতে পারে | যেমনটি আমরা জানি ডিজিটাল মার্কেটিং মানেই যে পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন, তেমনটি কিন্তু না | দেখে নেয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন অধ্যায় গুলি |
- SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- SEM বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা SMS
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
- সিপিএ মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং ইত্যাদি…
সাধারণত দুইভাবে আপনার কাছে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এ |
- ফ্রীল্যান্সিং
- চাকরি
ইচ্ছা শক্তি আর সময় থাকলেই আপনি একই সাথে দুই ভাবেই কাজ করতে পারবেন l
3. কোন কোন দক্ষতার দরকার ডিজিটাল মার্কেটিং-এ ক্যারিয়ার গড়ার জন্য
প্রত্যেক প্লাটফর্মের ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার জন্য চাই কিছু সামাজিক দক্ষতা l আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর সফল ক্যারিয়ার গড়তে এমনই কিছু দক্ষতার যেগুলিকে আমরা প্রথমেই আলোচনা করব |
3.1.ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম
প্রথমেই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে কোন কাজের জন্য কোন ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করা হয়েছে l বিজনেস বা সার্ভিস এর উপর ভিত্তি করেই ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম গুলো কে তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ যদি বলা হয়ে, বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম হল ওয়ার্ডপ্রেস.org l ৮১০ মিলিয়ন ওয়েবসাইট এই প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্মিত l এছাড়া শপিংফাই ৭০ মিলিয়ন উইক্স ৪৩ মিলিয়নস এবং স্কয়ারেস্পেস ৩৮ মিলিয়ন ওয়েবসাইট নিয়মিত l এইসব প্ল্যাটফর্ম এর উপরে কিছুটা ধারণা রাখা একটা সফল ডিজিটাল মার্কেটারের এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ l এর পাশাপাশি কিছুটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর ওপরও আপনার ধারণা থাকলে বেশ ভালো হয় l
3.2.ডাটা এনালিটিক্স
প্রত্যেক ডিজিটাল মার্কেটারের ই সাধারণ জ্ঞান রাখা উচিত ডাটা এনালিটিক্স সম্পর্কে l ডাটা এনালিটিক্স এর প্রথম মাধ্যম হিসেবে গুগল এনালিটিক্স সম্পর্কে বলা যায় l এটি একটি গুগলের পরিসেবা যেটি ২০০৫ সালে চালু করা হয় এবং এই পরিষেবাটা কে বেশিরভাগ ওয়েবসাইটের রক্ষা বিক্ষণের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরাই ব্যবহার করে থাকেন আর আপনি যদি একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটের হতে চান তাহলে আপনার গুগল এনালিটিক্স সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা নিতান্তই জরুরী l
3.3.ডিজাইন
ওপরে আলোচিত দুটি দক্ষতার মত ডিজাইন টা একটি দক্ষতার মধ্যেই পরে | এটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কারণ একটা ডিজিটাল মারকেটার খানিক জ্ঞান থাকা দরকার যে গ্রাহকের জন্য কোন ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে হবে বা কি রকম ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে l UI তথা ইউজার ইন্টারফেস ও UX তথা ইউজার এক্সপেরিমেন্ট এইসব বিষয় গুলির উপরও খেয়াল রাখতে হবে l একজন গ্রাহক হিসাবে ওয়েবসাইট বা আপনার অ্যাপের ইন্টারফেস কেমন পছন্দ করবেন বা পণ্য ব্যবহারের সময় তার অভিজ্ঞতা কেমন হবে, সেই সব দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরী একটি সুন্দর ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য l

3.4.ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি
স্ট্র্যাটেজি বলতে আমরা যেটা সাধারণভাবে বুঝে থাকি “প্ল্যান” l ডিজিটাল মার্কেটের হওয়ার জন্য মার্কেটে কোন ধরনের স্ট্যাটাজিতে মার্কেটিং চলছে সেটি বোঝা খুবই দরকার l স্ট্যাটেজি না আপনি শিখতে পারলে আপনি কোনদিনই একটা ভালো ডিজিটাল মার্কেট করতে পারবেন না l একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে হলে প্রথমে ব্যবসায়িক লক্ষ্যের সাথে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি এবং পরিচালনা করতে জানতে হবে। স্ট্রাটেজিক চিন্তার ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু এটি কোন ব্যবসার সাফল্যের একটি মৌলিক উপাদান।
3.5.কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা
যেকোনো পেশার থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দ্রুত মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক বেশি জরুরী l কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং হল একটি নতুন কর্ম দিক এবং এটি খুবই পরিবর্তনশীল l আধুনিক যুগে খুব দ্রুত এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে চলেছে l তাই নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়া এবং সেই সঙ্গে আপনার কাজের দক্ষতা টা অবশ্যই থাকা চাই একটা ডিজিটাল মার্কেটরের জন্য l
3.6.আকর্ষণ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রথম শর্তই হল প্রচারিত করা l মার্কেটিং মানে কোন পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে কোন ক্রেতাকে উৎসাহিত করা l একটি সাধারণ মানুষকে কেতায় রূপান্তরিত করার জন্য মার্কেটিং কে তার সামনে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে হয় l এক কথায় ভালো বিজ্ঞাপন নির্মাতা হতে হয় l যাতে না দরকার থাকার সত্বেও কোন কেতা অনেক বেশি কিনে ফেলে l
4.ডিজিটাল মার্কেটিং কেরিয়ারের সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং বা ইন্টারনেট মার্কেটিং হলো এমন একটি ক্যারিয়ার যা বর্তমানে পৃথিবীর বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ক্যারিয়ারের সাথে যোগ দিতে এবং এতে নিজের কেরিয়ারের সাফল্য অর্জন করতে অনেক সুযোগ এবং সুবিধা রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন বেছে নিবেন?
4.1.বেশি চাকরির সুযোগ:
ডিজিটাল মার্কেটিং এটি দ্রুত বাড়াতে যাচ্ছে আর্থিক উত্থানের ক্ষেত্র, যে ফলে বেশি চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিশেষত, ডিজিটাল মার্কেটার, সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, ডিজিটাল বিপণন ব্যবসায়ী সহ অনেক পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
4.2.ক্যারিয়ারের একটি সাথে বেস্ট সুযোগ:
ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে ব্যাপক জ্ঞান এবং দক্ষতা সরবরাহ করে, যা আপনার প্রক্রিয়াশীলতা বৃদ্ধি দেবে এবং ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার উন্নতি করতে সাহায্য করবে। অনেক ডিজিটাল মার্কেটার প্রজেক্ট বা ঘন্টায় হিসাবে কাজ করে থাকেন l যদি আপনি আপনার কর্মক্ষেত্র থেকে টাইম বার করতে পারেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার সুযোগটা বেছে নিতে পারেন l এখনকার দিনে অনেক ছাত্রছাত্রী টাই আছে যারা পড়াশোনার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করে চলেছে তাদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দতার জন্য l
4.3.স্বাধীনতা:
ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায় স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক কারণ এটি আপনাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করে l এখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন এবং আপনি নিজেই ঠিক করতে পারবেন আপনার ক্যারিয়ারের দিক।যেহেতু এটা পুরোটাই অনলাইনে নির্ভর তাই ডিজিটাল মার্কেটেদের অফিসে বসে কাজ বার্ধকতা থাকেনা l অনেক কর্মী আছে যারা অফিসে বসে কাজ করাটা পছন্দ করেনা l তাই এই কর্মীরাই নিজের বাড়িতে অফিস তৈরি করেন l
4.4.আর্থিক সুবিধা:
ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য বেতন সাধারণভাবে উচ্চ হতে পারে, স্পেশালিস্ট দলের সদস্য হিসেবে আরও বেশি। আর, স্বয়ং ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন, আপনি আরও আয় করতে পারেন যেটা আপনার আর্থিক সুবিধার সুযোগ দেয়।
4.5.প্রযুক্তিগত সুযোগ:
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি প্রযুক্তিগত ক্যারিয়ার যা আপনাকে নতুন প্রযুক্তির এবং উন্নত সরঞ্জামের দিকে নিয়োগ করে। আপনি সব সময় নতুন বিষয় শিখতে এবং প্রযুক্তির উন্নতির ব্যবহার করতে পারবেন যা আপনাকে আপনার পার্সোনাল ক্যারিয়ারে ডেভেলপ করতে সাহায্য করবে l
4.6.গ্লোবাল ক্যারিয়ার:
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গ্লোবাল পেশা, যা আপনাকে বিশ্বজুড়ে কাজ করার সুযোগ দেয়। আপনি বিশ্বভরে ক্লায়েন্ট সেবা দিতে এবং বিশ্বজুড়ে ব্যবসায় করতে পারেন, যা আপনার ক্যারিয়ারকে একটি ব্যাপক দিকে নেয়।
4.7.স্থায়ী ক্যারিয়ার:
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য হওয়ার জন্য উচ্চ চাকরি সুযোগ প্রদান করতে সাহায্য করে, যা স্থায়ী ক্যারিয়ার উন্নতির দিকে নেয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেরিয়ার একটি উপযোগী এবং ব্যাপক ক্যারিয়ার পথ যা বেশিরভাগ লোকের জন্য আত্মনির্ভরণ এবং আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে পারে। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং সাথে সাথে প্রযুক্তিগত উন্নতির পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করে, এই পেশাটি উচ্চ আত্মউন্নতি এবং পেশাদার সাফল্যে একটি অসাধারণ পথ হতে পারে।
5.ডিজিটাল মার্কেটিং কেরিয়ারের অ-সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অনলাইন প্রমোশন, ব্যবসা, এবং ব্র্যান্ড নির্মাণে সাহায্য করে। এটি বিশেষজ্ঞতা এবং প্রযুক্তির নিয়মিত ব্যবহার করে এই কাজটি সম্পাদন করে। ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এই সাধারণভাবে সুবিধাজনক এবং সফল হতে পারে, তবে এটিও অনেকগুলি অ-সুবিধা সাথে নিয়ে এসেছে।
5.1.প্রতিস্থানিক প্রতিযোগিতা:
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যা অনেক লোকের মধ্যে জনপ্রিয় এবং সম্প্রচারিত। এটি ক্ষতি করতে পারে যে এই ক্যারিয়ার এ কোন নিয়োগকারীর দিকে নজর না থাকতে পারে, যা এই ক্যারিয়ারে প্রবেশ করা বা উন্নতি করার কঠিনাই তৈরি করতে পারে।
5.2.প্রযুক্তিগত অবক্ষয়ন:
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি প্রযুক্তিগত ক্যারিয়ার যা সর্বদিক প্রযুক্তির উন্নতির দিকে স্থির হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে সাক্ষরতায় স্বাক্ষর করতে সময় নেয় l অনেক অধৈর্যশীল ব্যক্তিরা ধৈর্য রাখতে না পারায় প্রযুক্তির অবক্ষয়ন করে বসে, যা যা ভবিষ্যতে অনেক অসুবিধা তৈরি হতে পারে।
5.3.স্থায়ী আয় এবং চাকরির সুযোগ:
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ক্যারিয়ার যা স্থায়ী আয় এবং চাকরির সুযোগ প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি স্থায়ী নয় এবং চাকরির সংখ্যা সীমিত হতে পারে। কারণ আজকের দিনেই বহু সংখ্যক লোক ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ডিজিটাল মার্কেটে সফল হবার জন্য এগিয়ে আসছে l তাই অনেক ক্ষেত্রে, স্থায়ী চাকরির সুযোগ পাওয়া কঠিন হতে পারে এবং এটি আপনার ক্যারিয়ারের দিকে খারাপ সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হতে পারে।
5.4.উপযুক্ত পারিশ্রমিক
ডিজিটাল মার্কেটিং আজকের দিনে একটি অভিনব ক্যারিয়ারের দিক l তাই বেশিরভাগই ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত হতে চান l যার জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাওয়া খুব কঠিন হয়ে ওঠে l আর মার্কেটে প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি থাকলেই সেখানে তো পারিশ্রমিক খুব অল্প পাওয়াটাই স্বাভাবিক l
সম্পর্কে আমাদের উল্লিখিত অ-সুবিধাগুলি বিবেচনা করে, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ারে প্রবেশ করার পর যে চ্যালেঞ্জগুলি সম্মুখমুখি হতে পারে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। এই চ্যালেঞ্জগুলির সাথে মোকাবিলা করার জন্য আপনি নিজের দক্ষতা এবং শিক্ষা উন্নত করতে পারেন এবং আপনার ক্যারিয়ার উন্নতি করতে পারেন।
6.ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন l কিন্তু একজন ডিজিটাল মার্কেটরের রোজগার নির্ভর করে তার স্কেল আর অভিজ্ঞতার উপর l আপনি যদি চান ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে দুটি পদ্ধতিতে আপনি আয় করতে পারেন l ওপরে আলোচিত বিষয় মধ্যে আমি দুটি পদ্ধতি উল্লেখিত করেছি l ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মে যদি আপনার আয় বৃদ্ধি করতে হয় তাহলে আপনার প্রোফাইল ও পোর্টফোলিও মজবুত করতে হবে l অনলাইনে নিজের একটি পরিচিতি দাড় করাতে হবে l
আপনি যদি একজন এক্সপার্ট লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন আপনার মাসিক ইনকামমাসে ১ লাখের উপরে হতে পারে। এটা সত্যি বলে মনে হচ্ছে না তো….চলুন একটা উদাহরণ স্বরূপ দেখানো যাক |
রায়ান দিসিস কে আমরা কম বেশি সকলেই জানি l ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনি শীর্ষস্থানে অংশগ্রহণ করেন l নিচের চাটে এনার আওয়ারলি এবং ইয়ারলির ইনকামের চ্যাট দেয়া হল l যদি আপনারা চান ইন্টারনেটে গিয়ে এই ব্যাপারটা যাচাই করতে পারেন l


হয়তো ভবিষ্যতে আপনি এরকম ইনকাম করতে পারবেন l শুধুমাত্র আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সমস্ত ক্যাটাগরি গুলো শিখতে পারেন এবং প্রত্যেকটি ক্যাটারগরির ব্যাপারে যদি আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনিও একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটর হয়ে উঠতে পারেন
7.ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়
ডিজিটাল মার্কেটিং এ যদি আপনার যোগ্যতা অর্জন করা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন এর মাধ্যমেও আপনি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন l
অনলাইনে অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর প্রচুর কাজের সমাহার থাকে l এই সাইটগুলিতে গিয়ে আপনি আপনার সবকিছু তথ্য দিয়ে আপনার নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি কাজ করতে পারবেন l অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করে ইনকাম করার সাইটগুলো হল…..
- Freelancer
- Upwork
- GrowTal
- MarketerHire
- Mayple
- Fiverr
- PeoplePerHour
ওপরে উল্লেখিত সাইড গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য কাজ সংগঠিত করা থাকে l তাছাড়া আপনি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করেও আপনি আপনার ইনকাম এর পথ সুন্দর করে তুলতে পারেন বা কারোর সুন্দর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে অনলাইনে মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন l
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি কিভাবে ইনকাম করবেন তার ভিডিও টরিটিওয়াল…..
8.নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে কিভাবে ইনকাম করবেন
নিজস্ব ওয়েবসাইট বানিয়ে অনেক প্রকার এ ইনকাম করা যায়, তার মধ্যে প্রধান চারটি উপায় হল…..
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রদান করে
- অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে
- অ্যাড প্রেস বিক্রি করে
9.ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ও আয় শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ও আয় বিষয়টি জানানোর ছিল। আমরা আশা করি আপনারা ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি গুলো সহজে বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ও আয় বিষয়ে জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।
এছাড়া আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং টিপস এবং ট্রিক্স পেতে চান? তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
আমাদের লেখাটির যদি আপনার কাছে উপকারী মনে হয় তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।কারন আপনাদের বহুমূল্য কমেন্ট আমাদেরকে আরো সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে তে সাহায্য করবে এবং আরো ভালো কিছু শেখার জিনিস নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারব l
বিশেষত আপনারা কোন ধরনের আর্টিকেল চাইছেন যদি আমাদের কমেন্ট এ জানান তাহলে আমরা সেই বিষয়ে আর্টিকেল আনার চেষ্টা করব l
1 thought on “0 ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ও আয়”